আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। তার নামের সঙ্গে ভাইরাল শব্দটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত সোশ্যাল মিডিয়ায়। শোবিজের বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরেছেন তিনি। তাকে ঘিরে শত সমালোচনা, তবে কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন হিরো আলম।
বগুড়ার এই যুবক একাধারে প্রযোজক, অভিনেতা, গায়ক ও সমাজহিতৈষী। ডিসলাইনের (ক্যাবল অপারেটর) ব্যবসায়ী হিরো আলম এখন পুরো বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত। অনেকেই হিরো আলমের আয়ের উৎস জানতে চায়। তিনি কীভাবে সিনেমা প্রযোজনা করেন, সেটা জানতে চান।
এ ব্যাপারে হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ফেসবুকে আমার ১৯ লাখের একটি ফ্যান পেজ রয়েছে। আর ইউটিউবে Hero Alom Official-এ সাবস্ক্রাইবার এখন ১৩ লাখের বেশি। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করেই আমার যত আয়।
তিনি আরও বলেন, এখন তো আমার গাওয়া গানও দর্শকশ্রোতারা গ্রহণ করছেন। তবে আয় স্থিতিশীল না- কখনো বাড়ে, কখনো কমে। কোনো মাসে ৩ লাখ, কোনো মাসে আবার ১ লাখ, আবার এমনও হয় ৫০ হাজার আয় হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যতীত স্টেজ-শো করেও আয় করেন হিরো আলম। তিনি জানান, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে কিছু টাকা আসে। এই আয়ের টাকা থেকে গরিবদের সাহায্য করি, সিনেমা নির্মাণ করি। টাকা তো জমাই না, যা আয়, তাই ব্যয়। তবে অর্থ বেশি হলে খুব ইচ্ছে ছিল বড় আয়োজনের আরও ভালো ভালো সিনেমা নির্মাণ করার।’
সম্প্রতি নিজের আরেকটি স্বপ্নপূরণ করেছেন হিরো আলম। রোববার (২২ মে) টয়োটা ফিল্ডার ২০১৮ মডেলের নতুন গাড়ি কিনেছেন তিনি। এখন তার স্বপ্ন ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনার।
হিরো আলম জানান, ‘আমার স্বপ্ন ছিল সিনেমার হিরো হব। আল্লাহ সেটা পূরণ করেছেন। সবসময় চিন্তা করি মানুষের পাশে দাঁড়াতে, আল্লাহ সেটাও পূরণ করেছে। আমার অনেক বিপদ ছিল, আল্লাহ সেটাও দূর করেন। আমার স্বপ্ন ছিল সৎপথে একটা গাড়ি কিনব। আল্লাহ আজ আমার সেই স্বপ্নটাও পূরণ করেছে। এখন ঢাকা শহরে একটা ফ্ল্যাট কিনতে পারলেই আমার সব স্বপ্ন পূরণ হবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।